অনান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সব সেক্টরে অনলাইন সুবিধা চলে আসছে, কিন্তুু গ্রাহকে ভোগান্তি কী কমেছে?
আমাদের গভমেন্ট কোন সার্ভিস নিতে প্রচুর পরিমান দৌড়াদৌড়ি করতে হয়, যদিও সব কিছু সহজ করে দিয়েছে সরকার। তবে এই ভোগান্তির নেপথ্যে কারা আছে?
সব প্রশ্নের উওর হয় না। আমরা চাইলেই পারি এসব অব্যবস্থাকে সরিয়ে দিতে। কিন্তুু আমরা নিজেরাই প্রকৃতপক্ষে এসব বিষয়ে দায়ী, তার মূল কারন হলো, আমরা চাই যেন ঘরে বসেই সব কাজ হয়ে যাক। তাই সুদ-ঘুস দিতে কোন পরওয়া করি না।
তাই কিছু মানুষ আমাদের এই সমস্যা কে কাজে লাগিয়ে ইনকাম করছে, সাধারণ মানুষ পড়ছে বিলম্বনায়। তাই আমাদের উচিত দালাল এবং ঘুস মুক্তভাবে গভমেন্ট সার্ভিস গুলো নেওয়া।
এখন আসি আসল কথায়, আসলেই কী কোন রকম জটিলতা ছাড়া পাসপোর্ট করা সম্ভব। কারন সবাই বলে অনেক টাকা লাগবে, নাহলে আটকিয়ে দিবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আসলে ব্যাপার টা এমন নয়, আমরা যদি আমাদের সমস্থ ডকুমেন্টস ঠিকমতো নিয়ে যেতে পারি, এবং সকল প্রসেসিং গুলো নির্ভুল লিখতে এবং সাবমিট করতে পারি তাহলে কোন সমস্যা ছাড়াই আমরা আমাদের পাসপোর্ট পেতে পারি।
সরকার এখন ই-পাসপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে যার মাধ্যমে পাসপোর্ট করা আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। একজন গ্রাহক নিজেই তার সমস্থ ডকুমেন্টস ফিলআপ করে নিজেই আবেদন করবে, পাসপোর্ট অফিস সব ভেরিফাই করে তার ফিংগারপ্রিন্ট গ্রহণ করে নিদিষ্ট সময়ে তার পাসপোর্ট গ্রাহকদের হস্তান্তর করবে।
খুবই সহজ প্রসেসিং, কিন্তুু আমরা অনেকেই ভুল করি, পাসপোর্ট ফরম পূরণ করতে নাম ভুল, জন্ম তারিখ ভুল, বাবার নাম ভুল, মায়ের নাম ভুল৷ এরকম হাজারো ভুল করে ফেলি, যার ফলে অনেকের একাধিক বার পাসপোর্ট ফরম রিজেক্ট করতে হয়।
তাই প্রথমেই উচিত নিজের সব ডকুমেন্টস অনুযায়ী ঠিকমতো ফরম পূরণ করা, যাতে পাসপোর্ট অফিস থেকে কোন ভাবেই আপনার ফিলআপ করা ডকুমেন্টস তারা বাতিল করতে না পারে।
আমরা অনেকেই কিছু সমস্যায় থাকি যার ফলে পাসপোর্ট করতে পারি না, যেমন নিজের জন্ম নিবন্ধনের সাথে বাবার আইডি কার্ডের নাম ভুল, বয়স ভুল, মায়ের নাম ভুল। এসব ভুলের কারনে অনেকেই পাসপোর্ট করতে পারি না।
তাই প্রথমেই চেক করতে হবে যে, আমার কোন ডকুমেন্টে অমিল রয়েছে কিনা! যদি থাকে তাহলে যত দূর্ত সম্ভব সেটা সঠিক করতে হবে৷ তারপর আবেদন করতে হবে।
ধন্যবাদ সবাইকে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ।